দেখলেই তাঁরা থামাচ্ছিলেন। কেউ যেতে রাজি হচ্ছিলেন, কেউ হচ্ছিলেন না। যেসব চালক যেতে রাজি হচ্ছিলেন, তাঁরা চড়া ভাড়া হাঁকছিলেন।
রাস্তায় বাস বলতে আছে বিআরটিসির। কিন্তু এই বাসে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এই বাস দেখলেই যাত্রীরা ওঠার জন্য ছুটে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অনেকেই উঠতে ব্যর্থ হন। এ কারণে অনেক যাত্রীকে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন কাজীপাড়া থেকে আরামবাগ যাবেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা দেখলেই থামানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করেও তা পাচ্ছিলেন না তিনি। হেলাল উদ্দিন বলেন, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অফিসে যাওয়ার জন্য যানবাহন না পেয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি। অটোরিকশা না পেয়ে কয়েকটি রিকশা দেখেছিলেন। ৪০০ টাকার নিচে কেউ যাবে না।
আবেদ সিরাজ মিরপুর ১০ নম্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে। সে আজ করোনাভাইরাসের টিকা দেবে। কেন্দ্র পড়েছে মালিবাগে। সিরাজ বলেন, ‘ঘণ্টাখানেক ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কেউ যেতে চাইছে না। রিকশাচালক, সিএনজিচালকদের ডাকলেও তাঁরা শুনেছেন না। এখন কীভাবে যাব বুঝতে পারছি না।’
আবুল বাশার নামের এক ব্যক্তি বলেন, এখন পর্যন্ত সরকার কোনো ব্যবস্থাই করতে পারল না। জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার নিজেরাই সমস্যা তৈরি করছে। আবার পরে তাদের লোকেরাই ধর্মঘট দিয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস